সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৫১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধা জেলার সাত উপজেলায় ১ লাখ ৩৩ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে নানা প্রতিকুলতা পেরিয়ে এখন দুলছে এই ধানের সবুজ খেত। এ থেকে প্রায় ৪ লাখ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ।
সম্প্রতি গাইবান্ধার মাঠপর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি রোপা আমন মৌসুমের শুরুতে গাইবান্ধার কৃষকরা আবহাওয়ার প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়েছে। চারা রোপণের বেশীরভাগ সময়ে খরার কবলে পড়ছিলেন। এমন প্রতিকুলতার মধ্যে দিয়েও প্রায় ১ লাখ ৩৩ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়। এরপর পানির অভাবে চরম ব্যাহত হয়েছে এই চাষাবাদ। এরই মধ্যে পোকা-ইঁদুরের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। তারপরও নানা ধকল সামলিয়ে আশানুরূপ ফলন ঘরে উঠার সম্ভাবনা রয়েছে কৃষকদের।
স্থানীয়রা জানায়, জীবন-জীবিকার জন্য গাইবান্ধার অধিকাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভশীল। এ জেলার শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ জনসাধারণ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষি ফসল ঘরে তুলে তাদের মৌলিক চাহিদা পুরণে চেষ্টা করে। এখানে ধান-পাট-ভূট্রা ও সবজিসহ বিভিন্ন ধরণের ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। এসবের মধ্যে সবচেয়ে লাভজনক ফসল হচ্ছে রোপা আমন ধান। তবে এ বছর বাড়তি খরচ মাথায় নিয়ে আমন আবাদে নানা সমস্যার মধ্যদিয়ে ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে তাদের।
গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক খোরশেদ আলম জানান, চলতি আমন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়াসহ সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। এতে করে ভালো ফলন ঘরে তোলা সম্ভাবনা রয়েছে।